ইসলামাবাদ: আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে ফের বড়সড় ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইসলামিক নিয়ম মেনে বুশরা বিবিকে বিয়ে করেননি কাপ্তান। এমনই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বুশরার প্রথম স্বামী খাওয়ার মানেকা। শনিবার সেই ‘ইদ্দত’ মামলায় ইমরান ও বুশরাকে দোষী সাব্যস্ত করল পাকিস্তানের একটি আদালত। দু’জনকে সাত বছরের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সেই সঙ্গে ইমরান ও বুশরাকে ৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। ইমরান অবশ্য জানিয়েছেন, মানহানির লক্ষ্যেই এই মামলা। তাঁর কথায়, ‘এই প্রথম ইদ্দত নিয়ে মামলা করা হল।’ প্রসঙ্গত, সাইফার মামলায় ইতিমধ্যে ১০ বছরের জেল হয়েছে ইমরানের। পাশাপাশি তোষাখানা মামলায় কাপ্তানের সঙ্গে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে বুশরার। ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও মুসলিম মহিলার স্বামী মারা গেলে বা বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়। তারপরই ফের বিয়ে করা যায়। অপেক্ষার এই সময়কালকে বলা হয় ‘ইদ্দত’। ইমরানের আগে বুশরার বিয়ে হয়েছিল মানেকার সঙ্গে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে বুশরাকে মৌখিক তিন তালাক দেন মানেকা। সেই বছরের ১৪ নভেম্বর আইনিভাবে প্রাক্তন স্বামীকে তালাক দেন বুশরা। ডিভোর্স সংক্রান্ত সংশাপত্রে তিন মাসের ইদ্দত পর্ব কাটানোর কথাও স্বীকার করেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ইমরানকে বিয়ে করেন বুশরা। তাঁর ইদ্দত পালনের দাবি অবশ্য অস্বীকার করেন মানেকা। উল্টে তিনি জানিয়েছিলেন, ইদ্দত শেষ হওয়ার আগেই তাঁদের বিয়ে হয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানেকা।