ইম্ফল: ফের সংঘর্ষ মণিপুরে। অশান্তির জেরে বৃহস্পতিবার রাজধানী ইম্ফলে কারফিউ ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষে ছড়াল চাঞ্চল্য। জ্বালিয়ে দেওয়া হল বহু বাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হল পুলিশকে। বুধবারই কাংপোকপি জেলার খামেলক গ্রামে ভয়াবহ হিংসার বলি হন ১১ জন। আহত ১৫ জনের বেশি। এবার হিংসার কবলে রাজ্যের রাজধানীও।
কিছুতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এর মাঝেই কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে প্রায় ১০০০ জন দুষ্কৃতী। গতকাল, বৃহস্পতিবার কার্ফু উপেক্ষা করে গভীর রাতে মণিপুরের ইম্ফলে বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী আর কে রঞ্জন সিংয়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বেশ কিছু দুষ্কৃতী। যার ফলে তাঁর বাড়ি পুড়ে গিয়েছে। তবে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। কারণ মন্ত্রী এই মুহূর্তে রয়েছেন কেরলে। এর আগে গত মাসে মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল মেইতে সম্প্রদায়ের মানুষেরা। সেই সময়ে বাড়িতেই ছিলেন আর কে রঞ্জন সিং। নিরাপত্তা রক্ষীদের তৎপরতায় বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পান তিনি।
কুকি-মেতেই সংঘর্ষে অশান্ত মণিপুর। সেখানকার মেতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতির তফসিলি জাতির স্বীকৃতির দাবি নিয়ে আন্দোলন ওই ছোট্ট রাজ্যে নাগা-কুকি জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে পাল্টা প্রত্যাঘাতের জন্ম দিয়েছে। আর তা ঘিরেই রক্তাক্ত লড়াই, কারফিউ, পুলিশের গুলি- গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যার সাক্ষী গোটা দেশ। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়েছে। এছাড়াও মায়ানমার থেকে কুকি জঙ্গিরা এসে আগুনে ঘি ঢালছে। বুধবারই খামেলক গ্রামে দুষ্কৃতীদের অতর্কিত আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে বহু লোকের। আহত বহু। এবার ইম্ফলেও তাণ্ডব চালাল আন্দোলনকারীরা।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে ইম্ফলের নিউ চিকল অঞ্চলে অশান্তি শুরু করে দুষ্কৃতীরা। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পাল্টা কাঁদানের গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। এরপরই গণ্ডগোল তরমে ওঠে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু বাড়িতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ এলাকায় শান্তি ফেরাতে তৎপর। কিন্তু এখনও উপদ্রুত অঞ্চলগুলিতে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে।