নয়াদিল্লি: সাইবার অপরাধীদের হাতে চলে গিয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য। অসুরক্ষিত অবস্থায় প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি স্পর্শকাতর তথ্যের একটি ভাণ্ডারের হদিশ মিলেছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। যে পরিমাণ তথ্য ফাঁস হয়েছে, তাতে ১২ টেরাবাইটের হার্ড ডিস্ক পুরো ভর্তি হয়ে যাবে। তাই একে তথ্য ফাঁসের ইতিহাসে ‘সর্বকালের রেকর্ড’ বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘মাদার অব অল ব্রিচেস’। বলা হয়েছে, টুইটার বা এক্স, ড্রপবক্স এবং লিঙ্কডইন-এর মতো প্রচলিত এবং বহুলব্যবহৃত সাইট থেকে ওই তথ্য ফাঁস হয়েছে। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীনা মেসেজিং অ্যাপ টেনসেন্ট কিউকিউ। তাদের ১৪০ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হয়ে গিয়েছে। নাম রয়েছে মাইস্পেস (৩৬০মিলিয়ন), অ্যাডব ( ১৫৩ মিলিয়ন), ক্যানভা (১৪৩মিলিয়ন), টেলিগ্রাম (৪১ মিলিয়ন)—এর মতো বহু সংস্থার। তবে শুধু ব্যক্তিগতই নয়, বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ্যাকারদের হাতে চলে গিয়েছে। তালিকায় রয়েছে আমেরিকা, ব্রাজিল, জার্মানি, ফিলিপিন্স, তুরস্ক সহ একাধিক দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান। তবে এই বিপুল তথ্য ফাঁসের প্রভাব সাধারণ মানুষের উপর কীভাবে পড়বে, সেব্যাপারে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তি জিমেল অ্যাকাউন্ট ও নেটফ্লিক্সের জন্য হয়তো একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও তাই। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতেও তাঁর তথ্য বেহাত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কঠিন, সহজে অনুমান করা যায় না এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। চালু রাখতে হবে মাল্টি ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনও।