নটরাজ পাল, কলকাতা: প্রার্থী নিয়ে একাধিক ক্ষোভ, বিক্ষোভ আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে অনেক আসন হাতছাড়া হতে পারে বিজেপির। এমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। দলের সাফল্য আনতে গিয়ে নির্বিচারে তৃণমূল থেকে একাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাকে মাথায় তুলে নেওয়া, এমনকি প্রার্থী করা কার্যত বুমেরাং হতে পারে 2021 বিধানসভা নির্বাচনে। অল্প ভোটের ব্যবধানে হাতছাড়া হতে পারে প্রায় 70 থেকে 80 টা আসন। এমনই মনে করছেন রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর সেটা যদি হয় তাহলে শাপে বর হবে তৃণমূলের। শেষ হাসি হাসবে তৃণমূল। হয়তো তৃতীয় বারের জন্য আবার ক্ষমতায় চলেও আসতে পারেন মমতা।
একদিকে এইসব দলবদলু নেতাদের গুরুত্ব দিতে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে যারা সর্বস্ব ত্যাগ করে বিজেপির সংগঠনটাকে ধরে রেখেছেন, তাঁরা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিলেন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষোভ রয়েছে এইসব পুরনো নেতা ও কর্মীদের। দলে তাঁদেরকে ঠিকমতো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে তাঁদের কপালে জুটেছে একাধিক বৈষম্য ও অসম্মান। অন্যদিকে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি প্রার্থীর অভাবে বাম থেকে বিজেপিতে আশা অনেক ভোট বামে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ আর যাই হোক, বামেরা প্রার্থী নির্বাচনে অনেক স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তুলে এনেছেন অনেক মেধাবী প্রতিভা ও নতুন প্রজন্মকে। তাই অনেক ক্ষেত্রে এটাও দেখা যাবে যে, বামেরা ভোট কাটার কারণে বিজেপি অনেক আসনে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছে, জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
তবে রাজ্যের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে যদি সেটা না হয়, তা রাজ্যের পক্ষে মঙ্গল বলে মনে করছেন সাধারণ পরিবর্তনকামী মানুষেরা। যদিও এইসব পরিবর্তনমুখী মানুষ প্রার্থী না দেখে দলীয় প্রতীককে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বলে ধারণা অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের। এতসব ক্ষোভ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সত্ত্বেও যথেষ্ট আশাবাদী বিজেপির এইসব বিক্ষুব্ধ নেতারা। তাঁদের ধারণা, এবার 165 থেকে 170টা আসন পেয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।