কলকাতা: রাজ্যের পুরসভাগুলির আয় বাড়াতে এবার পান-সিগারেট-গুটখা বিক্রেতাদের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ম রাজ্যের সব পুরসভার জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কলকাতা ও শিলিগুড়ি পুরসভায় তামাকজাত পণ্য বিক্রেতাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্সের পাশাপাশি ‘টোবাকো ভেন্ডর লাইসেন্স’ দেওয়া শুরু হয়েছে। যদিও রাজ্যের অন্য পুরসভাগুলি এ বিষয়ে এখনও নীরব রয়েছে। তবে তামাকজাত পণ্য সংক্রান্ত আইন মনে করিয়ে দিয়ে সব পুরসভাকে এবিষয়ে সতর্ক করছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। এই দপ্তরের যুক্তি, বাড়তি লাইসেন্স ইস্যু করা হলে আয় বাড়বে পুরসভার। যা নির্দিষ্ট এলাকার উন্নয়নে খরচ হবে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘তামাকজাত পণ্যে নিয়ন্ত্রণ আনতে কড়া আইন আছে। বিক্রেতাদের ট্রেড লাইসেন্সের পাশাপাশি আলাদা লাইসেন্স নেওয়ার কথা সেই আইনেই বলা আছে। পুরসভাগুলি যাতে আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি দেয় তা নিশ্চিত করা হবে।’
কলকাতায় সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে কোভিডের পর কমেনি ধূমপানের বহর। বিড়ি-সিগারেটের পাশাপাশি পান-গুটখা বিক্রিও কমেনি। দিনদিন তা বেড়ে চলেছে। তা যাতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই চেষ্টা করছে সরকার। রাজ্যের ১২৮ টি পুরসভাতেই মেলে ‘ই-ট্রেড লাইসেন্স।’ তবে সিগারেট-গুটখা বিক্রির জন্য অনলাইনে অতিরিক্ত লাইসেন্স পাওয়ার ব্যবস্থা নেই। মহানগরের বহু দোকানদারের কাছে ‘টোবাকো ভেন্ডর লাইসেন্স’ নেই। অনলাইনে এই বাড়তি লাইসেন্স দেওয়ার অনুরোধ করেছেন অনেকে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বলছে, তামাকজাত কোনও না কোনও পণ্যের নেশা করেন দেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের ৩০ শতাংশ। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে । ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হয়েছে বছর তিনেক হল । আলোচনা চলছে তামাকজাত পণ্যের উপর কর বাড়ানো নিয়ে।