শ্রীনগর: পুঞ্চে সেনার উপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় অন্তত সাতজন জঙ্গি জড়িত। পাক মদতপুষ্ট ওই জঙ্গিরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে উপত্যকায় লুকিয়ে রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে এমন খবর মিলতেই তাদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়েছে। গোটা এলাকা কর্ডন করে রেখে অভিযান চলছে। জঙ্গিরা বাতা-দরিয়া এলাকার ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে পারে, এমনই আশঙ্কা করে ড্রোন উড়িয়ে এবং স্নিফার ডগ নামিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে সেনা সূত্রে খবর। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এবং রাজৌরি ও পুঞ্চের সীমানায় জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। ভিমবের গলি থেকে পুঞ্চ যাওয়ার রাস্তায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ যান চলাচল। লোকজনকে মেন্ধার হয়ে পুঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে এনআইএর উচ্চ পর্যায়ের টিম। এদিন তারা বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করে। হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজে অলআউট অভিযান চলছে বলে জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফে।
জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে আগামী মাসেই বিশেষ বৈঠক বসতে চলেছে শ্রীনগরে। এ কারণে গোটা উপত্যকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। তারইমধ্যে এই জঙ্গি হামলার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার ভিমবের গলি থেকে সাঙ্গোয়েতের দিকে যাচ্ছিল সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি। বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি রাস্তায় দৃশ্যমানতা একেবারেই কম ছিল। প্রতিকূল আবহাওয়ার সুযোগ নিয়েই মেন্ধারের ভাটা দুরিয়ান এলাকায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে অতর্কিতে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। এর জেরে সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঝলসে মৃত্যু হয় পাঁচ জওয়ানের। গুরুতর জখম হন আরও এক জওয়ান। তাঁকে রাজৌরির সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্রের খবর, যে গাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা, সেটির গায়ে বুলেটের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এমনকী ঘটনাস্থল থেকে যে বুলেট মিলেছে তা চীনে তৈরি। জঙ্গি হামলায় মৃত জওয়ানরা হলেন মনদীপ সিং, দেবাশিস বসওয়াল, কুলওয়ান্ত সিং, হরকৃষান সিং ও সেবক সিং।