ইসলামাবাদ: ৪০ বছরের এক বিধবা মহিলা, যাঁর নাম দয়া ভেল। তিনি পাকিস্তানের সিনঝোড়ো শহরের অধিবাসী। গত বুধবার এই মহিলাকে খুন করে শিরোচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছে। হিন্দু পাক সেনেটের কৃষ্ণা কুমারী সিনঝোড়ো শহরের এই মহিলার খুনের কথা টুইটারে জানান। তিনি জানান, ওই মহিলার শরীর ক্ষত-বিক্ষত করে গমের ক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি স্তন যুগল কেটে ফেলা হয়েছে।
এছাড়াও মাথা কেটে চামড়া তুলে মাংস বের করে দেওয়া হয়েছে। তারপরেই পুরো পাকিস্তান জুড়ে খুনিদেরকে যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার সুযোগ্য ব্যবস্থা করা হয়, তারই প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেত্রী কৃষ্ণা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রথম প্রতিনিধি। তিনি বলেন, আমি ওই গ্রামে গিয়েছিলাম। এছাড়াও সিনঝোড়ো ও শাহপুরচকার থেকে পুলিশ বাহিনীও গিয়েছিল। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মহাপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, বিষয়টি আমরা শুনলেও সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য ভারতের হাতে নেই। তবে আমরা পাকিস্তানকে বার বার বলছি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে হবে। এটা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এছাড়াও সমাজকর্মী ফকির শিবা কাচ্চি বলেছেন, আমরা হিন্দু মহিলার নৃশংশ খুনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাছাড়া, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিশ খুনিদেরকে গ্রেফতার করুক।
এখানেই শেষ নয়। এবছর মার্চ মাসে পূজা নামে এক ১৮ বছরের তরুণীর বাড়িতে ওয়াহিদ বক্স লাসারি নামে এক ব্যক্তি যায়। সে তাঁকে বিয়ের আগেই ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে। এমনকি তাঁকে অপহরণ করারও চেষ্টা করেছিল। পূজা তাতে বাধা দিতে গেলে ওয়াহিদ বক্স লাশারি তাঁকে গুলি করে খুন করে। আর তার দেহ টুকরো টুকরো করে রাস্তায় ফেলে দেয়। এখন বছরের শেষে এই ঘটনায় পাকিস্তানি হিন্দু মহিলাদের নিরাপত্তা যথেষ্ট প্রশ্নের মুখে।