কলকাতা: জোর ধাক্কা খেল কমিশন ও মমতা সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচন গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়েই করাতে হবে! এদিন এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করতে হবে। প্রধান বিচারপতি আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এনিয়ে। কমিশনের ভূমিকায় তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। কমিশনের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয় নয় বলেও উল্লেখ করেছে আদালত।
এবার গোটা রাজ্য জুড়েই পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ আদালতের। এই রায়ের বাস্তবায়নের জন্য আরও দেরি করা হলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়তে পারে বলে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। নির্দেশনামার কপি পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে কমিশনকে। আর তারপরই বাহিনী পাঠাতে হবে কেন্দ্রকে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। মহামান্য বিচারপতির বেঞ্চ প্রথমে স্পর্শকাতর এলাকায় বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলেছিলেন। নির্বাচন কমিশনার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে এই রায়ের উদারতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে হয়তো মৃত্যু মিছিল কমবে।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এপ্রসঙ্গে বলেন, সারা দেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হল কি না সেটা ভেবে দেখা দরকার। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পায় না। কেন্দ্রীয় বাহিনী নাকি সেনাবাহিনী সেটা আমাদের কাছে কোনও ব্যাপার নয়।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই রক্তাক্ত হয়েছে বাংলা। বোমা পড়ছে ভাঙড়ে। সেই ছবি দেখে শিউরে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে এবার আদালতের নির্দেশ পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
সূত্রের খবর, ভোট পরিচালনার কাজে যুক্তদের কাছে পরিচয়পত্র রাখতে হবে। প্রয়োজনে এই পরিচয় পত্র দেখা যাবে।
উল্লেখ্য, সিভিক ভলান্টিয়ারদের খাঁকি উর্দি পরিয়ে ভোটের কাজে নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এবার এনিয়েও বিশেষ নির্দেশ দিল আদালত।
তবে আদালতের নির্দেশে স্বস্তিতে বিরোধীরা। তাঁদের মতে, পুলিশের উপর ভরসা নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে মৃত্যুমিছিল কিছুটা কমবে।