প্যারিস: গত মরশুমে জার্মানির বুন্দেশলিগার ঘটনা। কুনকু ৩৫ গোল করেছিলেন। সেবার তাঁকে সেরা ফুটবলার ঘোষণা করা হয়েছিলেন। এবার ফ্রান্স দলের এই ফরোয়ার্ড ক্রিস্টোফার চোটের জন্য ছিঁটকে গেলেন। বুধবার অনুশীলন চলছিল। সেসময় মিডিও এডুয়ার্দোর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। তিনি চোট পান তাঁর বাঁ পায়ে। তাঁর পরিবর্তে স্কোয়াডে রয়েছেন কোলো মুয়ানি। লিগে ১৪টি অ্যাসিস্ট ছিল লিপজিগের পক্ষে। তিনি ২৩ ম্যাচে ১৭ গোল করেছেন চলতি মরশুমে। সেজন্য চিন্তায় ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ। তাঁর অনুপস্থিতি যথেষ্ট চাপ বাড়িয়েছে টিমের।
ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন মিডফিল্ডার পল পোগবা ও এনগোলো কান্তে । গতবারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। চার বছর আগে ফ্রান্সের সেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে এই দু’জন ছিলেন অন্যতম কান্ডারী। এদিকে এখনও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিমপেম্বেও। তিনি হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে ভুগছেন। রাফায়েল ভারানে’র সুস্থ হয়ে ওঠা খুবজরুরি। কোচ দেশঁ তাঁর অপেক্ষায় আছেন। কারণ, তিনি দলের সেরা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার।
এদিকে ২২ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে। ভারানে সুস্থ না হলে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না দেশঁ। সব মিলিয়ে কঠিন সমস্যায় গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এই পরিস্থিতির মধ্যে কাতারের উদ্দেশে পারি দিয়েছে চার বছর আগে বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দল।
গত বিশ্বকাপে দলে ছিলেন না করিম বেনজেমা। গত মাসেই ব্যালন ডি’ওর পেয়েছেন তিনি। দুর্দিনে তাঁর উপর বিশেষ ভরসা রেখেছে ফ্রান্স। ইউরোপে যে পাঁচজন সেরা ফুটবলার আছেন, তিনি তাঁদের মধ্যে ৫ম স্থানে রয়েছেন। জিনেদিন জিদান ১৯৯৮ সালে এই সম্মান পেয়েছিলেন। ফরাসি প্লেয়ার হিসেবে জিদানের পর তিনিই এই সম্মান যোগ্য।
বেনজেমা বলেছেন, ‘আমি শুধু গোল করার কথা ভাবছি না। সেই ক্ষমতা আমার রয়েছে। সতীর্থদেরও সাহায্য করতে চাই। বিশ্বকাপে তার প্রমাণ রাখতে চাই। এই মুহূর্তে কেরিয়ারের সেরা ছন্দে রয়েছি। দলের সাফল্যে অবদান রাখার ব্যাপারে আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুব কঠিন সময় দেখেছি। আমি জাতীয় দলের বাইরে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু তখনও হাল ছাড়িনি। সেই সময় জিদান আমাকে ফুটবল উপভোগ করতে বলেছিল। এই বিশ্বাসও রেখেছিল যে একদিন সেরার স্বীকৃতি পাব। জিদানের আস্থা আমাকে মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলে।’