নয়াদিল্লি: ফের সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ড রাজধানী দিল্লিতে। এবার স্ত্রী ও সৎ ছেলের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে ১০ টুকরো করার অভিযোগ উঠল। পরে পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হয় সেই দেহংশ। এক্ষেত্রেও দেহাংশগুলি ফ্রিজে রাখা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তরা তা ফেলে রেখে আসে। নিহত ব্যক্তির নাম অঞ্জন দাস। তাঁর বয়স ৪৫ বছর। এই খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী পুনম (৪৮) এবং সৎ ছেলে দীপককে (২৫)। অভিযুক্তরা খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
এদিকে মৃত অঞ্জন দাসের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী পুনমের অভিযোগ, সৎ মেয়ে এবং সৎ ছেলের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছিল স্বামী। তাদের প্রতি কুনজর ছিল। তাছাড়া স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী বিহারে থাকে। তাঁর সোনার গহনা বিক্রি করে টাকা পয়সা প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল। এই নিয়ে পুনম ও তার ছেলের সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত।
গত ৩০ মে রাতে ঘটে এই ভয়াবহ খুনের ঘটনা। প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অঞ্জনকে অচৈতন্য করা হয়। এরপর দুই অভিযুক্ত একটি ছুরি ও ভোজালি দিয়ে তাঁকে খুন করে। তারপর ১০ টুকরো করে দেহটি। রেখে দেওয়া হয় ফ্রিজে। তিন-চারদিন ধরে সেগুলি বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসে। প্রমাণ লোপাটের জন্য এই কাজ করে অভিযুক্তরা।
জানা গিয়েছে, তদন্তে অঞ্জন ও পুনমের একাধিক বিয়ের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। প্রথমে তার সুখদেব তেওয়ারি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় পুনমের। কিন্তু স্ত্রীকে ছেড়ে দিল্লি চলে যান প্রথম পক্ষের স্বামী। ২০১৬ সালে পুনম দিল্লি আসে স্বামীকে খুঁজতে। পরে কাল্লু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিয়ে হয় তার । ২০১৭ সালে দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর মৃত্যু হয়। এরপর অঞ্জনের সঙ্গে পুনমের পরিচয় ও বিয়ে হয়। আগের পক্ষের এক মেয়ে ও ছেলেকে নিয়েই অঞ্জনের সংসারে গিয়ে ওঠে পুনম। অন্যদিকে, অঞ্জনেরও এটা দ্বিতীয় বিয়ে। তাঁর আদি বাড়ি বিহারে। কর্ম উপলক্ষে দিল্লিতে থাকতেন। তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীও থাকেন বিহারে। সেখানে আট সন্তানও রয়েছে তাঁর। পুনমের অভিযোগ, আগের বিয়ের কথা গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন অঞ্জন।