মুম্বই: ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিতে (এনসিপি) ভাঙন নিয়ে মহারাষ্ট্রে দিনভর জল্পনা। একঝাঁক বিধায়ক সহ এনসিপি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অজিত পাওয়ার, এমন খবরে মারাঠাভূমিতে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তুঙ্গে। যদিও এসবই সংবাদ মাধ্যমের রটনা বলে মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। যাঁকে ঘিরে জল্পনা, সেই অজিত পাওয়ারও এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই গুজবের কোনও ভিত্তি নেই। অকারণে মিডিয়া এনিয়ে জলঘোলা করছে। প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমি এনসিপিতে আছি। এনসিপিতেই থাকব।’ এনসিপি ও মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোটের মধ্যে ফাটল ধরাতেই এ ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। অজিতের দাবি, ‘আমি মোটেই ৪০ জন বিধায়কের সই নিইনি। আজ যে বিধায়করা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন, সেটা রুটিন প্রক্রিয়া। এর পিছনে অন্য অর্থ খোঁজার কোনও কারণ নেই।’ তবে গোটা বিষয়টিতে ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখেছেন শারদ-কন্যা তথা এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে।
প্রকাশ আম্বেদকরের ‘আগামী পনেরো দিনের মধ্যে বড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ’ মন্তব্য প্রসঙ্গে এদিন শারদ-কন্যা বলেছেন, ’১৫ দিনের মধ্যে বড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ হতে চলেছে। যার একটি হবে দিল্লিতে, অন্যটি মহারাষ্ট্রে’। তবে, আগামী দু’সপ্তাহে রাজনীতিতে কী ওলটপালট হতে পারে, তা অবশ্য খোলসা করেননি তিনি। বরং কিছুটা হেয়ালির সুরে বলেছেন, ‘আমি বাস্তবে বাস করি। যদি আজকের কোনও বিষয় নিয়ে আপনি জিজ্ঞাসা করেন, বলতে পারব। কিন্তু আগামী ১৫ দিন পর কী ঘটবে তা এখন বলব কী করে।’ অজিত পাওয়ারের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সুপ্রিয়া সুলের মন্তব্য, ‘সেটা আপনারা অজিত দাদাকে জিজ্ঞাসা করছেন না কেন? আমি এবিষয়ে জানি না। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার অনেক কাজ আছে। গসিপ করার মতো সময় নেই আমার কাছে।’
তবে যতই জল্পনা ছড়াক না কেন, ভাইপো অজিত পাওয়ারের দলত্যাগের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে এদিন দাবি করেছেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। বলেছেন, ‘অজিত দলের কাজে ব্যস্ত। দলের বিধায়কদের নিয়ে কেউ কোনও বৈঠক ডেকেছেন বলে আমার জানা নেই। কেউ কেউ খবর তৈরি করার চেষ্টা করছেন। এসবই জল্পনা। সংবাদ মাধ্যমের রটনা। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, এনসিপিকে কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়, সেটা নিয়েই ভাবনাচিন্তা করছেন দলের সবাই।’
তাঁর দলত্যাগ নিয়ে জল্পনার জেরে এনসিপি কর্মীরা যে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন, তা স্বীকার করে এদিন অজিত পাওয়ার বলেন, ‘আমি কর্মীদের এটাই বলতে চাই, আপনারা কোনও বিভ্রান্তির মধ্যে থাকবেন না। ইচ্ছাকৃতভাবেই এই গুজব ছড়ানো হয়েছে। বেকারত্ব ও কৃষকদের সমস্যা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতেই ভুয়ো খবর ছড়ানোর চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।’