চেন্নাই: রাজ্যে আত্মহত্যার ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। গত ২ সপ্তাহে চার জন ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে সূত্রের খবর । পড়াশোনার কারণে প্রবল দুশ্চিন্তা। আর তার ফলেই আত্মহত্যার এই কিশোরীরা পথ বেছে নিচ্ছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন তাদের জন্য বিশেষ বার্তা দিয়েছেন । সিআইডি পড়ুয়াদের মৃত্যুর তদন্ত করবে বলে সরকারের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মৃত ছাত্রীরা সকলেই উচ্চ্ মাধ্যমিক পড়ুয়া। মঙ্গলবার শিবাকাশী এলাকা থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী। তবে তাঁর কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ওই কিশোরী পেটের সমস্যায় ভুগত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ। তার আগের দিন এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া যায় সেখান থেকে। সেই নোটে ওই কিশোরী লিখেছিল, আইএএস হওয়ার জন্য বাবা-মা তাকে চাপ দিতেন। সেজন্যই সে আত্মহত্যা করছে। কারণ, বাবা মায়ের এই ইচ্ছা পূরণ করতে পারবে না সে।
জানা গিয়েছে, গত ১৬ জুলাই একটি আবাসিক স্কুলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল তামিলনাড়ুর দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। সুইসাইড নোটে ওই ছাত্রী লিখেছিল, তার উপরে শিক্ষিকারা লাগাতার মানসিক নির্যাতন চালাতেন। অপমানে আত্মহত্যা করেছে সে। এর ফলে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এই ঘটনাকে ঘিরে। এলাকার ক্ষুব্ধ লোকজন স্কুলে হামলা চালায়। স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিশোরীর মা-বাবা এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করেছেন।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন । তিনি ছাত্রীদের অনুরোধ করেন, ‘মেয়েদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া উচিত নয়। যা কিছু সমস্যা আসবে, সেগুলিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে ছাত্রীদের।’ পাশাপাশি, পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পেলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।