কলকাতা, ২৮ অক্টোবরমানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে নতুন তথ্য সন্ধানে নেমেছে ইডি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তাঁর বেনামে চালানো ডি এল এড কলেজগুলো ছিল দুর্নীতির আখড়া। এই কলেজগুলির ছাত্র ছাত্রীরা নাম ভাঙিয়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসত। এক কথায়, পরীক্ষার্থীর ডামি হয়ে কাজ করত তারা। বিনিময়ে পেত মোটা টাকা। এইসব নকল পরীক্ষার্থীরা ভালো নম্বর নিয়ে পরীক্ষায় পাশ করে যেত। ইডির কাছে এরকমই তথ্য এসেছে বলে সূত্রের খবর। এভাবে পরীক্ষায় না বসেও টাকার বিনিময়ে অন্যের মেধা কাজে লাগিয়ে অনেক অযোগ্য ব্যক্তি চাকরি পেয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু কারা এই চাকরি পেয়েছে? তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই কলেজগুলির টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য টালিগঞ্জের একটা সংস্থার রফা হয়। মানিক ভট্টাচার্য মুনাফার লোভে এই সংস্থাগুলির সঙ্গে রফা করতে বাধ্য করতেন। কারণ, এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে তিনি কাটমানি পেতেন। আসলে এই সংস্থাগুলি বেনামে মানিকই চালনা করতেন।মানিকের ডি এল এড কলেজগুলি আসলে চাকরির দালালির কাজ করত। কলেজের সদস্যরা চাকরি প্রার্থীদের বুঝিয়ে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করত। টাকার বিনিময়ে চাকরি প্রার্থীর হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তাব দিত কলেজের প্রতিনিধিরা। বিনিময়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা করে মাথা পিছু নেওয়া হত বলে অভিযোগ। যারা টাকা দিতে রাজি হত, তাদের নামের তালিকা শিক্ষা দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হত। এবং মেধা তালিকায় তাদের নাম চলে আসত। কিন্তু কার নির্দেশে এই ধরনের অপরাধ সংগঠিত হত তার তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। শিক্ষা দপ্তরের কোন কোন আধিকারিক এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।