বারাণসী: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি দিল আদালত। শুক্রবার বারাণসীর জেলা আদালতের নির্দেশ, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই) মসজিদের ওজুখানায় থাকা ‘শিবলিঙ্গ’ বাদে গোটা মসজিদের কার্বন ডেটিং করতে পারবে। ৪ আগস্ট এই পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সরকারি আইনজীবী রাজেশ মিশ্র এবং মামলাকারীদের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন এই খবর জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, হিন্দু মন্দিরের জায়গায় মসজিদটি নির্মিত হয়েছে কি না, তা নির্ধারণের জন্য হিন্দু মামলাকারীদের তরফে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছিল। এদিনের রায় যদিও হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনা রয়েছে।
জ্ঞানবাপী মসজিদ অবস্থিত কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশেই। জ্ঞানবাপী মসজিদটি তৈরি হয় ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে। একাংশের দাবি, আগে ওখানে শিবমন্দির ছিল। মন্দির ভেঙে মসজিদটি নির্মাণ করেন মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব। মসজিদ চত্বরে শিবলিঙ্গের মতো কাঠামো মেলার পর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। মসজিদ কর্তৃপক্ষের (অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি) যদিও দাবি, সংশ্লিষ্ট কাঠামোটি ‘ওজু খানা’র একটি ঝর্ণার অংশ, যেখানে নামাজের আগে ‘ওজু’ করা হয়। ১৪ অক্টোবর বারাণসীর জেলা আদালতে জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গে’র মতো কাঠামোর কার্বন ডেটিং সহ বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার আবেদন খারিজ হয়। সেই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয় উচ্চ আদালতে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি অরবিন্দকুমার মিশ্র নিম্ন আদালতের রায়কে খারিজ করে সংশ্লিষ্ট কাঠামোর কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ দেন। আদালত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে জানায়, কাঠামোটির কোনও ক্ষতি না করে মসজিদ চত্বরে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিং করতে হবে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ এই রায়ে খুশি হয়নি। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। ১৯ মে শীর্ষ আদালতের স্থগিতাদেশের ফলে সংশ্লিষ্ট কাঠামোর বয়স নির্ধারণের জন্য বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার সমগ্র প্রক্রিয়া থমকে যায়। ২৩ মে বারাণসীর জেলা আদালত নির্দেশ দেয়, জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত সবক’টি (আটটি) মামলার শুনানিই এবার হবে একটি আদালতেই।