নয়াদিল্লি: সাক্ষাতে কথা হয়েছে শারদ পাওয়ার, নীতীশকুমার, তেজস্বী যাদবের সঙ্গে। টেলিফোনে আলোচনা সেরেছেন ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিন ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গে শীঘ্রই দূত পাঠাবেন বলে সূত্রে খবর। ঠিক যেভাবে সোমবার মহারাষ্ট্রে খাড়্গের দূত হয়েই শিবসেনা নেতা উদ্ধব থ্যাকারের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল। সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলেও।
বৃহত্তর জোটের প্রস্তুতিতেই সোনিয়া গান্ধীর পরামর্শ মতো উদ্যোগ বাড়িয়েছেন খাড়্গে। আগামী মাসে কর্ণাটক ভোট মিটলেই মোদি বিরোধী জোট জোরদার করতে তেঁড়েফুঁড়ে আসরে নামবে কংগ্রেস। দলের আশা, ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্ণাটকে ১৩৭ আসনে জিতবেই কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে খবর, মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে সোনিয়া গান্ধী বলে দিয়েছেন, চব্বিশেও মোদিবিরোধী জোট করতেই হবে। তাই কংগ্রেসের সমমনষ্ক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিন। প্রাক্তন সভানেত্রীর থেকে এই বার্তা পেয়েই কেজরিওয়ালকে ফোন করেন খাড়্গে।
একইভাবে এবার নবান্নে অথবা কলকাতার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে খাড়্গের দূত হিসেবে এআইসিসির কোনও উচ্চ পদাধিকারীকে পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে। নীতীশকুমার এবং স্ট্যালিনকে দিয়েও মোদিবিরোধী মহাজোটে মমতাকে সঙ্গে আনার কৌশলও রয়েছে কংগ্রেসের। তবে পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে তৃণমূলনেত্রী কি কয়েকটি আসন কংগ্রেসকে ছাড়বেন? তা যদি না ছাড়েন, তাহলে আর জোট হবে কীভাবে? কংগ্রেসের অন্দরেই উঠছে এই প্রশ্ন।