শিলিগুড়ি: পাহাড়কে রাজ্য থেকে আলাদা করার জিগির ফের শুরু হল। এই মুহূর্তে পাহাড়ের রাজনীতিতে ‘ব্রাত্য’ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (জিজেএম) প্রধান বিমল গুরুং অ্যান্ড কোম্পানি গোর্খাল্যান্ড টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) চুক্তি থেকে নিজেদের আলাদা করার কথা ঘোষণা করল। তবে কিছুটা কৌশলের রাস্তা নিয়েছে জিজেএম। তারা ঘোষণা করেছে, এবার আন্দোলন হবে দিল্লিতে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। কারণ, পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু তারা তা করেনি। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের পৃথক রাজ্যের ধুয়ো তুলে বাজিমাতের প্রচেষ্টার নেপথ্য কারিগর বিজেপি এবং তাদের দোসররা। সেই কারণে গত লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারও পাহাড়ের ‘পার্মানেন্ট পলিটিক্যাল সলিউশন’ (পিপিএস) এবং ১১টি জনজাতিকে তফসিলি উপজাতি (এসটি) স্টেটাস দেওয়ার অঙ্গীকার ফের বিলি করে বেড়াচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বঙ্গভাগের অপচেষ্টার এই পর্বে তাঁরা বন্দুক রাখতে চাইছেন জিজেএমের কাঁধেই ।