নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: সম্প্রতি ফের জনরোষের মুখে রচনার শো দিদি নম্বর ১। আইনি ঝামেলায় জড়াতে পারে টিম। অভিযোগ উঠেছে টিআরপি বাড়ানোর জন্য প্রতিযোগিরা মিথ্যে কথা বলে ‘সিমপ্যাথি’ আদায় করার চেষ্টা করছেন।
এক ডিম্বাণু দাতাকে নিয়ে শো করে বিতর্কে জড়ালো দিদি নাম্বার ১। জানা গিয়েছে, ওই ডিম্বাণু দাতা যেসমস্ত মহিলাদের সন্তান ধারণে সমস্যার কারণে মা হতে পারেন না, তাদের ডিম্বাণু দিয়ে মা হতে সাহায্য করেন তিনি। এজন্য এক আইভিএফ সেন্টারেরও সাহায্য নেন তিনি। মামন নামে এগ ডোনার ওই মহিলা সেই ঘটনাটি টেলিভিশনের পর্দায় প্রকাশ্যে আলোচনা করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘মহান সাজবার জন্য টেলিভিশনের পর্দায় এমন গোপনীয় কথা কেউ বলে না’। আবার কেউ কেউ লেখেন, ‘আইভিএফ পদ্ধতিতে সাহায্য করেন যাঁরা, সেই ডোনারদের পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকে, এটা ঠিক নয়’। চ্যানেলের এই ভিডিওকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে দেওয়ার দাবি ওঠে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন, যারা সন্তান ধারণে অক্ষম তাদের গর্ভে একজন সুস্থ মহিলার ডিম্বাণু নিষেক ঘটিয়ে স্থাপন করা হয়। এজন্য আইভিএফ সেন্টারে ডিম্বাণু ডোনারদের ইনজেকশনের মাধ্যমে ডিম্বাশয় বড় করে নেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ডোনারদের পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। একজন ডিম্বাণু গ্রহীতা মা জানতে পারেন না কার ডিম্বাণু তাকে দান করা হয়েছে। নেটিজেনদের অভিযোগ, ডিম্বাণু দাতা মামন টিভির পর্দায় নিজের ডিম্বাণু দানের কথা তুলে ধরে ঠিক করেননি।