কলকাতা: ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন শুল্কদপ্তরের এক সুপারিনটেনডেন্ট। পবন কুমার নামে ওই অফিসারকে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর অফিস থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কলকাতা বন্দরে কর্মরত। তাঁর বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই অফিসারের কলকাতা ও বিহারের বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তির নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, পবন কুমারের অনুমতি নিয়েই বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন সামগ্রী ক্লিয়ারিং হয় কলকাতা বন্দরে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, এই পর্বে টাকার খেলা চলে। শুল্কদপ্তরের ক্লিয়ারিং এজেন্টের মাধ্যমে ঘুষ নেওয়া হয়। দাবিমতো টাকা না পেলে আইনের দোহাই দিয়ে পণ্য আটকে রাখা হয়।
সিবিআইয়ের হাতে ধৃত শুল্কদপ্তরের ওই অফিসারের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন এক ব্যবসায়ী। তাতে বলা হয়, চীন থেকে তাঁর ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য এসেছে। সেগুলি পড়ে রয়েছে শুল্কদপ্তরের অফিসে। কিছুতেই সেগুলি ক্লিয়ার করা হচ্ছে না। ব্যবসায়ীর দাবি, ওই কনসাইনমেন্ট ছাড়তে সুপারিনটেনডেন্ট এক ক্লিয়ারিং এজেন্ট মারফত তিন লক্ষ টাকা ঘুষ চান। দর কষাকষির পর ওই কর্তা এক লক্ষ টাকায় নেমে আসেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকায় রফা হয়। তিনি জানান, গত জানুয়ারি মাস থেকে ওই পণ্য পড়ে রয়েছে। এরজন্য জরিমানা দিতে হবে তিন লক্ষ টাকারও বেশি।
এই সুপারিনটেনডেন্টকে ধরতে ফাঁদ পাতেন সিবিআই অফিসাররা। ব্যবসায়ীকে দিয়ে ওই কর্তাকে বলানো হয়, তিনি টাকা দিতে রাজি। সেইমতো তদন্তকারী অফিসারদের একটি টিম সোমবার শুল্কদপ্তরের অফিসে পৌঁছে যায়। ছদ্মবেশে তাঁরা ওই চেম্বারে ঢোকেন। ঘুষ বাবদ ৫০ হাজার টাকা নেওয়ামাত্র তাঁকে ধরে ফেলেন সিবিআই অফিসাররা। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর অফিসে। সিবিআই জেনেছে, এই কর্তা এক ক্লিয়ারিং এজেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নিতেন।