হরিশ্চন্দ্রপুর: ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের দক্ষিণ রামপুর গ্রামে। অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনার পর থেকে পলাতক অন্য অভিযুক্তরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত জোৎস্না খাতুনের (৩০) বাড়ি দক্ষিণ রামপুরে। বছর দশেক আগে সেখানকার বাসিন্দা নুর ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। বুধবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় জোৎস্নার শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত বধূর পরিবার। জোত্স্নার ভাই মহম্মদ মিঠুন এদিন গুরুতর অভিযোগ করেছেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, এক মেয়েকে বিষ খাইয়ে অনেকদিন আগে মেরে ফেলেছে নুর। ছোট মেয়ের জন্মের কিছুদিন পর পরিবারের কাউকে না জানিয়ে এক আত্মীয়কে দত্তক দিয়ে দেয় সে। এনিয়ে অশান্তি চলছিল পরিবারে। মিঠুন বলেন, ছোটখাটো কারণে জোৎস্নার উপর প্রায়ই অত্যাচার করত তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। দু’পক্ষ আলোচনা করে কয়েকবার সমাধান করা হয়েছিল। বুধবার রাতেও তাদের মধ্যে অশান্তি হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের লোক আমাদের ফোন করে বোনের মৃত্যুর খবর জানায়। গিয়ে দেখি বারান্দায় শুইয়ে রেখেছে বোনকে। ওর গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল। মনে হচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থায় বোনকে খুন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত স্বামী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগে আমাদের মধ্যে অশান্তি ছিল। এখন সব মিটমাট হয়ে গিয়েছে। আমার স্ত্রী অনেকদিন ধরে অসুস্থ থাকায় চিকিৎসাও চলছিল। সকালে উঠে দেখতে পাই বিছানাতেই দেহ পড়ে রয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।