দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গত শিক্ষাবর্ষের প্রায় শেষভাগে স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্মের একটি সেট তুলে দেওয়া হয়েছিল। এবার যাতে তা না হয়, তাই আগেভাগেই তৎপরতা শুরু করেছে সরকার। ঠিক হয়েছে, গরমের ছুটির পরেই যেনতেনপ্রকারেন ছাত্রছাত্রীদের অন্তত একটি করে সেট দিতেই হবে। সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই জেলাগুলিকে ইউনিফর্ম তৈরি করতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি রিভিউ মিটিংয়ে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর।
গতবারের তুলনায় এবার ইউনিফর্মের জন্য কাপড় বিলি, পড়ুয়াদের মাপ নেওয়ার কাজ অনেকটা আগেই শুরু হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ১০০ শতাংশ স্কুলেই মাপ নেওয়ার কাজ হয়ে গিয়েছে। শহরাঞ্চলে সেই কাজ হয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। দপ্তরের বক্তব্য, তাঁতিদের থেকে কাপড় এনে তা কাটার জন্য ১৫১টি সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে জেলাগুলিকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাপড় পাঠানো হয়েছে। ছোট জেলাগুলি ইতিমধ্যেই সেই কাপড় পেয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তুলনায় বড় জেলাগুলিকে ধাপে
ধাপে সেগুলি পাঠানো হচ্ছে। সেলাইয়ের কাজ সময় মেনে যাতে করা হয়, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে জেলাগুলিকে। যাতে গরমের ছুটির পর স্কুল খুললেই পড়ুয়াদের একটি করে সেট তুলে দেওয়া যায়। এবার ৮২,০৯৫টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ইউনিফর্ম দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গতবারের মতো এবারও সেলাইয়ের কাজ করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। ইতিমধ্যেই ৬৬ হাজারেরও বেশি স্কুলের জন্য ওয়ার্ক অর্ডার বেরিয়ে গিয়েছে। তবে
এসবের মধ্যে সব থেকে পিছিয়ে কলকাতা। মাপ নেওয়া হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ স্কুলে। এখনও হাজারের বেশি স্কুলে এই কাজ বাকি বলে জানা গিয়েছে।