‘খেলা হবে’ নামে বাংলার নিজের ১০০ দিনের কাজ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    55
    0

    কলকাতা: ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে রাজ্যের জন্য ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কোনও অর্থ বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। এভাবে বাংলাকে ‘ভাতে মারা’ যাবে না বলে আগেও একাধিকবার দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়েছেন মমতা। শুক্রবার ধর্মতলায় জনস্রোতে ভেসে তাঁর ঘোষণা, রাজ্য নিজেই চালাবে ১০০ দিনের কাজ। প্রকল্পের নাম ‘খেলা হবে’। কেন্দ্র যত দিন না এই প্রকল্পে টাকা দেবে, ততদিন রাজ্য সরকারই জবকার্ড হোল্ডারদের ১০০ দিনের কাজ দেবে। বিজেপির উদ্দেশে তাঁর হুঙ্কার, ‘আজকে তুমি ক্ষমতায় আছো, তাই আমার টাকা আটকে রেখেছ। আমাকে ভাতে মারছ। কাল তুমি যখন ক্ষমতায় থাকবে না, তোমার দিকে কেউ তাকিয়েও দেখবে না।’ এদিন শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে পরিসংখ্যান উল্লেখ করে মমতা দাবি করেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রের ওই প্রকল্পে ১০০ দিন কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকলেও মোদি সরকার বাংলায় বছরে ৩০ দিনের বেশি কাজ দিতে পারেনি। আমরা অন্তত ৪০ থেকে ৫০ দিনের কাজ দেব।’ তাঁর এই ঘোষণায় স্বভাবতই উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে যায় জনসমুদ্রে। 

    গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে তৃণমূলের স্লোগান ‘খেলা হবে’ জনপ্রিয়তার শীর্ষে। স্বয়ং নেত্রীকেও হাতে ফুটবল নিয়ে এই স্লোগান তুলতে দেখা গিয়েছে। গ্রামবাংলায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরাও প্রচারের হাতিয়ার করেছিল। তাদের দাবি ছিল, তৃণমূল সরকারের লাগামহীন দুর্নীতির কারণে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে। এই আবহে একুশের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ‘খেলা হবে’ প্রকল্প ঘোষণা আগামী দিনে বঙ্গ রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। দেওয়া হয়নি ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে লেবার বাজেটের অনুমোদনও। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে রাজ্য কয়েক মাস আগে থেকেই জবকার্ড হোল্ডারদের নিজস্ব সরকারি প্রকল্পে কাজ দিতে শুরু করে। সূত্রের দাবি, এভাবে বছরে গড়ে ২৬ দিন করে কাজ পেয়েছেন প্রায় ৬৪ লক্ষ ৫৩ হাজার জবকার্ড হোল্ডার। তাঁদের রাজ্যের কোষাগার থেকে মজুরি বাবদ ৩ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি অনুমোদন দিয়েও আবাস প্রকল্পের ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির টাকা এখনও দেয়নি কেন্দ্র। রাজ্য বিজেপির নেতাদের কথায় এই টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ এনে মমতা জানিয়ে দেন, চলতি বছরেই এই ১১ লক্ষ সহ আরও ৮০ হাজার বাড়ি রাজ্যের নিজস্ব খরচেই গড়ে দেওয়া হবে। টাকার ব্যবস্থাও হয়ে গিয়েছে। 

    Previous articleরাজ্যে আরও একমাস কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আর্জি
    Next articleমমতাকে দেখেই কাঁদলেন পার্থ

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here