নিজেস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: কয়লা পাচার কাণ্ডে ধৃত ৭ ইসিএল কর্তার জামিনের আবেদ খারিজ। তাঁদের ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। আগামী ১৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী আশীষ মুখোপাধ্যায় বিচারকের কাছে দাবি জানান, অনুপ মাজি ওরফে লালার সঙ্গে ধৃত আধিকারিকদের লেনদেনের সম্পর্ক ছিল। সেজন্য ধৃত আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে ধৃত আধিকারিকদের আইনজীবী আশিস কুমার বলেন, ওই আধিকারিকদের আগেই অনেকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।তাঁদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি করা হয়েছে। কিন্তু সিবিআই তাঁদের কোনও ত্রুটি দেখাতে পারেনি। হদিশ মেলেনি হিসাব বহির্ভুত কোনও সম্পত্তির। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। সেজন্য অতি সক্রিয়তা দেখানো হচ্ছে বলে তাঁর দাবি।
এদিকে এই আধিকারিকদের গ্রেপ্তারির ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ইডি ও সিবিআই নিরপেক্ষ কিনা আগে তার প্রমাণ দিক। ঘরে চুরি হলে নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশ্ন করেন, নাকি প্রতিবেশীকে বলেন। কোলিয়ারির দায়িত্বে তো থাকে সিআইএসএফ। যা কেন্দ্রের অধীন। আগে তাঁদের বলুন। আমরা আমাদের কাজ করব, সিবিআই সিবিআইয়ের কাজ করুক।’
উল্লেখ্য, বুধবার রাত পর্যন্ত নিজাম প্যালেসে ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেডের জিএম-সহ ৭ আধিকারিককে সাতঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের জবাবে অসঙ্গতি মেলায় ৭ জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে আছেন ইসিএল-এর তিন প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ও তন্ময় দাস। বর্তমান জিএম এসসি মৈত্র। তিন নিরাপত্তা আধিকারিক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, মুকেশ কুমার ও রিঙ্কু বেহারা।