নয়াদিল্লি: ২০১৬ সালের মার্চে ইরান থেকে অপহৃত হন এক ভারতীয় কার্গো ব্যবসায়ী। তিনি কুলভূষণ যাদব। ওই ঘটনার পর পাকিস্তানের হেফাজতে চলে যান তিনি। ইসলামাবাদ দাবি করে, চরবৃত্তির অভিযোগে কুলভূষণকে বালুচিস্তান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। পরে ভারতীয় গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ইরান থেকে কুলভূষণকে অপহরণের কাজে যুক্ত ছিল জয়েশ আল-আদল নামে স্বল্প পরিচিত এক পাকিস্তানি সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী। পরে অর্থের বিনিময়ে তারা কুলভূষণকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাতে তুলে দেয়। এই জয়েশ আল-আদলের বিরুদ্ধেই মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানি সেনা।
জয়েশ আল-আদল নামটির অর্থ ‘ন্যায়ের সেনা’। ইরান সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের সিস্তান-বালুচিস্তান অঞ্চলে সক্রিয় এই জঙ্গিগোষ্ঠী। ইরানের পাশাপাশি রাষ্ট্রসঙ্ঘও এই সংগঠনকে জঙ্গিগোষ্ঠী বলে ঘোষণা করেছে। প্রায় ৬০০ সশস্ত্র সদস্য রয়েছে তাদের। জুন্দাল্লা নামে অন্য একটি জঙ্গি সংগঠন থেকে তৈরি হয়েছিল এই জয়েশ আল-আদল। ২০০০-২০১০ সাল পর্যন্ত ইরানে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্মে যুক্ত ছিল জুন্দাল্লা। ২০১০ সালে জুন্দাল্লার নেতা আবদুলমালেক রিজিকে প্রাণদণ্ড দেয় ইরান। এর দু’বছর পর আল কায়েদার মদতে জয়েশ আল-আদল নামে নতুন এই সংগঠনটি তৈরি করেন সালাউদ্দিন ফারুকি ও মোল্লা ওমর। লক্ষ্য ছিল ইরান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে স্বাধীন সিস্তান-বালুচিস্তান রাষ্ট্রগঠন।