শিলচর: রংপুর সংলগ্ন করাতিগ্রামে মধুরা নদীর উপর সেতু বানানো হয়েছিল আট বছর আগে। এবার সেই সেতুর দুই দিকের অ্যাপ্রোচের কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এতে। সেতুর উপরের কাজ শুরু হলেও নিচের খুঁটির পাইলিং বেরিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকেরা দাবি করছেন, অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছিল পাইলিংয়ে। যদি সেদিকে নজর না দিয়ে সেতু চালু হয়, যেকোনও দিন বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে।
আজ শিলচর ছোট দুধপাতিল এলাকার বাসিন্দারা সেতুর কাজ পরিদর্শন করেছেন এবং তাদের সঙ্গে করাতিগ্রামের বাসিন্দারা যোগ দেন। দুধপাতিলের দিকের কাজ জোর গতিতে চললেও করাতিগ্রামের দিকের কাজ এখনও বন্ধ রয়েছে। যে তিনটি মূল পিলার গড়ে তোলা হয়েছিল আট বছর আগে, করাতিগ্রামের দিকের পিলারটি একেবারেই নড়বড়ে। করাতিগ্রামের বাসিন্দারা বলেন, এটি যে কোনও সময় ভেঙে পড়তেই পারে।
ছোট দুধপাতিলের বসুন্ধরা জানিয়েছেন, তাঁরা পূর্ত বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, করাতিগ্রামের দিকে যে শেষ পিলার রয়েছে, সেটি সারাই করার পাশাপাশি আরেকটি পিলার বসিয়ে সেতুকে সরাসরি মাটির সঙ্গে স্পর্শ করাতে হবে। কেননা নদীর পাড় দ্রুত ভাঙছে।
তারা আরও জানিয়েছেন, সেতুর কাজের জন্য ১৫ কিলোমিটার থেকে উন্নতমানের মাটি আনার কথা ছিল। তার জন্য অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে যাঁরা কাজের বরাত পেয়েছেন, এক কিলোমিটার দূর থেকে নিম্নমানের মাটি অ্যাপ্রোচের কাজে ব্যবহার করছেন। এতে একদিকে যেমন সরকারি অর্থের প্রকাশ্যে নয় ছয় করা হচ্ছে, অন্যদিকে নিম্নমানের কাজ করে গোটা এলাকাবাসীকে ঠকানো হচ্ছে।
এলাকার লোকেরা হুমকি দিয়েছেন, সরকারি কাজ নিয়ে এভাবে প্রকাশ্যে দুর্নীতি তাঁরা মানবেন না। প্রয়োজনে প্রত্যেকটি বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন।