দীননাথ চক্রবর্তী
দাদা এবার যখন তুই আসবি
তোর সঙ্গে উপত্যকায় যাবো
ঐ যা কি যেন নামটা বলেছিলিস
মনে পড়েছে …গালওয়ান ।
উপত্যকা মানেই তো
একরাশ মন কেমন করা
ভালোলাগা
জল থেকে উঠে আসা
তুলতুলে আদুরে বাতাস
দূর দিগন্ত জুড়ে শুধু
ডাগর ঘন দুচোখের কথায়
খোলা চিঠি ।
তোর কি মজা নারে দাদা
নিয়ে যাবিতো আমায় উপত্যকায়
আমার কি মনে হয় জানিস
ঘুমের ভেতর যত স্বপ্ন থাকে
তারা ঘোরাফেরা করে উপত্যকায়
আকাশ মেঘ যেমন চুমু খায়
গাছের পাহাড়ের ঠোঁটে কপালে
আবার নীল জলের বুকে মাথা রাখে
বাতাস বিলি কাটে চুলে
রোদ্দুর যেন গলা সোনা
ছায়া সম্পর্কের গভীরতা ।
জানি এরপর তুই বলবি
উপত্যকা মানে শকুন্তলা
উপত্যকা মানে অনুসূয়া প্রিয়ংবদা
অবশেষে দুষ্মন্ত …
তোর জন্য আমার বড্ড কষ্ট হয়রে দাদা
প্রকৃতির মধ্যে থেকেও
উপত্যকার মধ্যে থেকেও
তুই না প্রকৃতির
না উপত্যকার
দুচোখ কড়া নজর রাখে শত্রুর ওপর
আমি জানিতো
এক কাঁধে তোর দেশ
অপর কাঁধে
মচকে যাওয়া দুমড়ে যাওয়া সংসারটা ।
মাঝে মাঝে কি মনে হয় জানিস দাদা
চেতনে অবচেতনে
বড্ড আমরা স্বার্থপর
অথচ আমরা কত কথা বলি
দগদগে আগুন কথা
মরে যাওয়ার পর যেমন
হাউহাউ করে কাঁদে
অথচ দেখ
মাত্র দুমিনিট
স্রেফ দুমিনিট
শান্তিতে দুদণ্ড কথা বলার মতো
সময় নেই তোর হাতে …
তাই বলে ঐ কথাটা তুই
কি করে বললি?
‘আজ থেকে ওপরে ডিউটি ‘
আর কোনদিন যেন মুখে না শুনি
জানিসনা …