নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: সিকিম থেকে শিলিগুড়ি। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নয়া আতঙ্ক নাইরোবি বা কেনিয়ান ফ্লাই। আফ্রিকান এই বিষাক্ত পোকার সংক্রমণে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে চামড়া। স্থানীয় মানুষ এই পোকার নাম দিয়েছেন অ্যাসিড পোকা। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী এই পোকায় আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন বেশ কিছু মানুষ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অন্যদিকে সিকিমেও এই পোকার দাপট ক্রমশ বাড়ছে। সিকিমের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শতাধিক পড়ুয়া এই পোকার সংস্পর্শে আসার পর তাঁদের মারাত্মকভাবে ত্বক সংক্রমণ হয়েছে। এমনকি একজন ছাত্রকে তার হাতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। অন্য এক সংক্রামিত শিক্ষার্থীকে ওষুধ দেওয়া হয়। যদিও তাঁরা এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন।
জানা গিয়েছে, এই মাছি সাধারণত ফসল নষ্ট করে ও কীটপতঙ্গ খায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই মাছি কামড়ায় না বা হুল ফোটায় না। তবে, যদি কারও ত্বকে বসার পর বিরক্ত করে, তখন তারা একটি শক্তিশালী অ্যাসিডিক পদার্থ নির্গত করে। যা ত্বককে পুড়িয়ে দেয়। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, আফ্রিকার এই নাইরোবি মাছি, মাজিতারের সিকিম মনিপাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এসএমআইটি) ক্যাম্পাসে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি কেনিয়ান মাছি নামেও পরিচিত। এরা ছোট, পোকামাকড়ের মতো। এদের দেহও অনেক লম্বা। এগুলি কমলা ও কালো রঙের হয়। বেশিরভাগই উচ্চ বৃষ্টিপাতের অঞ্চলে পাওয়া যায়। তারা আলো ও আর্দ্র এলাকা দ্বারা আকৃষ্ট হয়।