দিল্লি: বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সব আশায় জল ঢেলে দিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। ইপিএফ-এ সুদের হার সেই ৮.৫ শতাংশই রাখা হল। এর ফলে বাম, কং ও তৃণমূল সহ সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মুখ পুড়ল। আর বলার অবকাশ রইলো না, মোদি সরকার জনবিরোধী।
৪ মার্চ, বৃহস্পতিবার ছিল কর্মচারি ভবিষ্যনিধি প্রকল্পের অছি পরিষদের বৈঠক। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, জম্মু কাশ্মীরের এই বৈঠকে ২০২০-২১ বর্ষে ইপিএফের সুদের হার নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে গত বছরের মতো এবছরও সুদের হার ৮.৫ শতাংশ রাখার সুপারিশ করে অছি পরিষদ। বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রী সন্তোষ কুমার গঙ্গওয়ার। তিনি আবার ইপিএফের অছি পরিষদেরও চেয়ারম্যান।
কর্মচারিদের মধ্যে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি গুজব ছড়িয়েছিল যে, এবার ইপিএফে সুদের হার কমানো হতে পারে। গত বছর থেকে করোনা মহামারির পরিস্থিতিতে দেশ যেভাবে সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে গেছে, তাতে সুদ কমানোয় ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু, কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক সেই হতাশার পরিবেশ কাটিয়ে আরও আশার সঞ্চার করেছে। ২০১৯-২০ র মতোই অপরিবর্তিত রইল সুদ।
এদিকে এই ঘোষণায় চাপে পড়ে গেছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এমাস থেকেই দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার মধ্যেই সরকার ইপিএফে সুদের হার কমালো না। ফলে বিজেপিকে জনবিরোধী তকমা দেওয়ার মোক্ষম অস্ত্রটা হাত ছাড়া হয়ে গেল। এখন শুধু অপেক্ষা। কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রক অনুমোদন দিলেই বিজ্ঞপ্তি জারি করবে শ্রমমন্ত্রক। দেশের সাড়ে ছয় কোটি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা হবে সেই সুদ।