অ্যাডিলেড, ১০ নভেম্বর: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে ধরাশায়ী ভারত। ইংল্যান্ডের কাছে লজ্জাজনকভাবে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল ভারত। ফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। নিজের আবেগ চেপে রাখতে পারলেন না রোহিত শর্মা। কাঁদতে কাঁদতে ড্রেসিং রুম ছাড়লেন তিনি।
১৫ ওভারের শেষে ভারতের রান ছিল ১০০। এই মাঠে যা খুবই দুর্বল ইনিংস। হার্দিক পান্ডিয়ার অপেক্ষকৃত ভালো ব্যাটিংয়ের জন্য ৩৩ বলে ৬৬ রান। ফলে ভারতের ঝুলিতে এল ১৬৮ রান। এদিকে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৬ ওভারে ১৭০ রান করে ইংল্যান্ড লক্ষ্যে পৌঁছয় । ম্যাচের সেরা অপরাজিত অ্যালেক্স হেলস ৮৬ রান করেন। অপরাজিত অধিনায়ক জস বাটলারের ৮০ রান। রবিবার মেলবোর্নে ফাইনাল খেলা। বাবর আজমের পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। যদিও এই দুই দলের সুপার টুয়েলভে কোনও সম্ভাবনায় ছিল না। বরং ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল প্রবল। আজ তারাই এখন বিশ্বজয়ের দোরগোড়ায়। আর ভারত গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচ জিতে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পায়। সেই ভারতেরই বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল সেমী ফাইনালে। একেই বলে ক্রিকেট। এটাই হয়তো ভাগ্য।
তবে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোনোটাই ভালো করেনি। তিন বিভাগেই রুগ্ন দশা রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়ার। গোটা প্রতিযোগিতায় ওপেনিং জুটির খুবই দৈন্যদশা। সেমি-ফাইনালেও ঘটল তাই। লোকেশ রাহুল (৫) দ্বিতীয় ওভারে ফিরলেন। রোহিত ২৭ করলেও পাওয়ার প্লে’তে সুবিধা করতে পারেনি। ছয় ওভারে স্কোর ৩৮-১! অথচ ইংল্যান্ড প্রথম ওভারেই সংগ্রহ করে ১৩ রান। কোনও উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লে শেষে ৬৩। ফলে বাটলাররা অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। কোনও মতে তাঁদের আর রাশ টেনে রাখতে পারেনি রোহিত বাহিনী। ভুবনেশ্বর কুমার (০-২৫)। মহম্মদ সামি (০-৩৯)। হার্দিক পান্ডিয়া (০-৩৪)। অক্ষর প্যাটেল (০-৩০)। রবিচন্দ্রন আর অশ্বিনরা (০-২৭)। হেলস সাতটা ছয় ও চারটি চার। বাটলারের নয়টি বাউন্ডারি আর তিনটি ছক্কা। অ্যাডিলেডের দু’পাশে রয়েছে ছোট বাউন্ডারি। সেই সুবিধা হাতছাড়া করেননি তাঁরা।