কলকাতা: ২০১৬ সালে কোনওরকম অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়ে গিয়েছে! টেস্ট না দিয়েই নম্বর পেয়েছেন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবির প্রেক্ষিতে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জবাব তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই বছর আদৌ কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল কি না, তা আগামী সাতদিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে পর্ষদ সভাপতিকে।
২০১৪ সালে হওয়া টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে যে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রিয়াঙ্কা নস্কর সহ মোট ১৩৯ জন চাকরিপ্রার্থী। মামলাকারীদের দাবি, নিয়োগপ্রাপ্তদের থেকে বেশি নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি আদালতে দাবি করেন, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট বাধ্যতামূলক। ইন্টারভিউয়ের জন্য ধার্য নম্বর ৫। অ্যাপটিটিউড টেস্টের ক্ষেত্রেও ধার্য নম্বর একই। কিন্তু ওই বছর অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই অ্যাকাডেমিক স্কোর কম রয়েছে এমন প্রায় ২৫ হাজার প্রার্থীকে এ বাবদ নম্বর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে তাদের মোট নম্বর বেড়ে যায়। তাঁরা নিয়োগও পেয়ে গিয়েছেন যথারীতি। অথচ অ্যাকাডেমিক স্কোর বেশি থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হয়েছেন মামলাকারীরা। নিয়োগপ্রাপ্তরা অ্যাপটিটিউড টেস্টে কত নম্বর পেয়েছেন, তাও মামলাকারীদের জানানো হয়নি বলে অভিযোগ তরুণজ্যোতিবাবুর।
এই বক্তব্য শোনার পর এজলাসে উপস্থিত মামলাকারীদের সাক্ষ্যগ্রহণের নির্দেশ দেন বিচারপতি।