কলকাতা: আচমকা সাইরেনের শব্দ বিদ্যাসাগর ট্রাফিক গার্ডের অফিসে। একটি ট্যাব থেকে আসছে সেই শব্দ। ডিউটিতে থাকা কনস্টেবল দেখলেন একটি মেসেজ। ‘ওপেন’ করতেই অভিযোগকারীর নাম, গুগল লোকেশন, ফোন নম্বর, কী অভিযোগ— সব ভেসে উঠল ট্যাবের স্ক্রিনে। ‘অসুস্থ হয়ে পড়েছেন খিদিরপুরের এক বাসিন্দা।’ সঙ্গে সঙ্গে সেই মেসেজ পাঠিয়ে দেওয়া হল ওই লোকেশনের কাছাকাছি থাকা এক সার্জেন্টের মোবাইলে। দেখেই বাইক নিয়ে ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তিনি। চোখে-মুখে জল দিয়ে কিছুটা সুস্থ করা হয় প্রবীণ ব্যক্তিকে।
সবচেয়ে কম সময়ে ১০০ ডায়ালে ফোন করা ব্যক্তিকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এল লালবাজার। পুলিস সূত্রের খবর, প্রতিটি ট্রাফিক গার্ডকে দেওয়া হয়েছে একটি করে ১৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের ট্যাব। কলকাতা পুলিসের নিজস্ব একটি অ্যাপ সর্বক্ষণ চলছে সেখানে। কী হবে সেখানে? ১০০ ডায়ালে কোনও ব্যক্তি ফোন করলেই তাঁর নাম, ফোন নম্বর ও লোকেশন সরাসরি চলে যাবে স্থানীয় ট্রাফিক গার্ডের অফিসে থাকা ওই ট্যাবে। সেই মেসেজ ঢুকলেই তীব্র শব্দ করে বাজবে সাইরেন। মেসেজ না খোলা পর্যন্ত ওই সাইরেন বাজতেই থাকবে। লালবাজারের নির্দেশ, এই মেসেজ যত দ্রুত সম্ভব নিকটতম সার্জেন্টের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এ নিয়ে প্রতিটি ট্রাফিক গার্ডে প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছিল লালবাজার। এই অ্যাপ কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তাই শেখানো হয়েছে সেখানে। পুলিসের এক পদস্থ কর্তার কথায়, আগে ১০০ ডায়াল-এ কল করলে লালবাজারের কন্ট্রোলরুমে সেই খবর এসে পৌঁছত। সমস্ত তথ্য সংগ্রহের পর তা থানাকে জানানো হতো। তারা সেই ফোন পেয়ে ডিউটি অফিসারকে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দিত। সব মিলিয়ে যা কিছুটা সময়সাপেক্ষ।