Home National অগ্নিপথ নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ থামাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

অগ্নিপথ নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ থামাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

240
0

নতুন দিল্লি: অগ্নিপথ নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ থামাতে এবার আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে সংরক্ষণের কথা।হিংসার আগুন নেভাতে তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, দেশে দক্ষ সেনা তৈরি ও স্থায়ীভাবে বেকার সমস্যা দূরীকরণের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ  “অগ্নিপথ” প্রকল্প। চার বছরের জন্য দেশের তিন সামরিক বাহিনীতে অগ্নিবীর পদে নিয়োগ করা হবে দেশের যুব সমাজকে। এই চার বছরের চাকরির শেষে ৭৫ শতাংশ ‘অগ্নিবীর’-দের অব্যাহতি দেওয়া হবে। সেইসময় তাঁরা মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা পাবেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে ‘অগ্নিবীর’-দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বাকি দক্ষ ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরদের চাকরিতে বহাল রাখা হবে। আমেরিকা, ইজরায়েল সহ উন্নত দেশগুলি এইভাবে সেনা নিয়োগ করে থাকে। এবার ভারত সেই পথ অনুসরণ করতে চলেছে।  এখান থেকে অবসর গ্রহণের পর অগ্নিবীররা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, তা অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। কিন্তু, একশ্রেণীর রাজনৈতিক সুবিধাবাদী লোকজন দেশের যুবসমাজকে ভুল পথে পরিচালিত করছে।
এই প্রকল্প চালুর ঘোষণার পর থেকেই দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বহু জায়গায় আন্দোলনের নামে ধ্বংসলীলা চালানো হচ্ছে। একশ্রেণীর ইন্ধনে ট্রেনের পর ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে ফের বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অসম রাইফেলস ও সিএপিএফ-এ  অগ্নিবীরদের জন্য নিয়োগে ১০ শতাংশ সংরক্ষনের ঘোষণা করা হল।
যদিও সামরিক বাহিনীতে চাকরির জন্য যাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের দাবি, ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যে আগুন জ্বলেছে। এই আবহে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের আশ্বস্ত করতে সংরক্ষণের ঘোষণা করল অমিত শাহের মন্ত্রক। তবে দেশ গঠনকে গুরুত্ব না দিয়ে সীমিত সংখ্যক মানুষের স্বার্থসিদ্ধির এই আন্দোলনকে ভালো চোখে দেখছে না দেশের জাতীয়তাবাদী মানুষ। তাদের বক্তব্য, স্বাভাবিক সেনা নিয়োগে দেশের একটি সীমিত সংখ্যক পরিবার আর্থিক সুবিধা ভোগ করে। যা সমাজকে  বৈষম্যের মধ্যে ঠেলে দেয়। কারণ, আমাদের দেশে সব বেকারকে সরকারি চাকরি দেওয়ার মতো পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। কিন্তু, অগ্নিপথের মাধ্যমে সেনা নিয়োগ হলে দেশে পাঁচগুণ বেশি পরিবার অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। কমবে দারিদ্রতা ও বেকার সমস্যা।  পাশাপাশি, দেশ পাবে দক্ষ সেনা, অধিকতর জাতীয় সুরক্ষা। সর্বোপরি সেনা বিভাগের কঠিন  প্রশিক্ষণ নেওয়ার ফলে দেশের যুব সমাজের স্বাস্থ্য হবে শক্তিশালী ও সুগঠিত। দেশের স্বাস্থ্যবিভাগে কমবে সমস্যা। হাসপাতালে কমবে রোগীর পরিমাণ।

Previous articleসাত দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ কলকাতা পুরসভায়
Next articleসুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দুর্নীতির অভিযোগ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here