নয়াদিল্লি: একদিকে শ্রদ্ধাকে খুন, অন্যদিকে একই ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আরও এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা। বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই আফতাবের। মনুষ্যত্বের বিন্দুমাত্র অনুভূতি নেই তাঁর। এমনকি ওই মহিলা আফতাবের ফ্ল্যাটে পর্যন্ত নিয়মিত যাতায়াত করত। তখনও ফ্রিজে রয়েছে শ্রদ্ধার মৃত দেহের অংশ। দেহের অন্যান্য অংশ জঙ্গলে ফেলে দিলেও তখনও শ্রদ্ধার মুন্ড রয়েছে আফতাবের ঘরে। ওই মহিলা এলেই শ্রদ্ধার দেহের টুকরো ফ্রিজ থেকে সরিয়ে ফেলা হত। রেখে দেওয়া হত একটি ড্রয়ারে মধ্যে। যাতে ওই নতুন বান্ধবী কোনওভাবে বুঝতে না পারে। সে চলে গেলেই তা আবার ফ্রিজে রেখে দিত অভিযুক্ত আফতাব। নতুন বান্ধবীর চোখের আড়ালে এই কাজ দীর্ঘদিন ধরে করেছে সে। শুধু তাই নয়, মৃতদেহের গন্ধ যাতে কেউ বুঝতে না পারে সেজন্য ঘরে সুগন্দি ব্যবহার করা হত। দেওয়া হত ধূপও। ঘটনার কথা সামনে আসতেই ওই মহিলা গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ আরও তথ্য পেতে ওই বান্ধবীর খোঁজ চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।