কলকাতা: জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে দেউচা পাচামির নিয়ম সর্বত্র কেন প্রযোজ্য হবে না? এই মর্মে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। নদীয়ায় অধিগৃহীত জমির ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, দেউচা পাঁচামিতে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জমিদাতার পরিবারের সদস্যকে যদি চাকরি দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে রাজ্যের অন্যত্র সেই নিয়ম কেন প্রযোজ্য হবে না? দেউচার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের যে অঙ্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, রাজ্যের অন্যত্র তা হবে না কেন বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন তা নিয়েও। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায় রাস্তা তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে আইন মানা হয়নি। এমন অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস ২০১৩ সালের নতুন আইনে ক্ষতিপূরণের দাবি জানানোর পাশাপাশি দেউচার ক্ষতিপূরণ ও চাকরির প্যাকেজ সংক্রান্ত রাজ্যের নথি জমা দেন। একইসঙ্গে নদীয়ার ওই অধিগ্রহণের প্যাকেজও জমা দেন। সওয়ালে তিনি বলেন, দেউচা পাচামির ক্ষেত্রে একরকম নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যত্র আবার ক্ষতিপূরণের অন্য নীতি গ্রহণ করেছে রাজ্য। রাজ্যের আইনজীবী অবশ্য জমিদাতাদের জেলাশাসকের কাছে নতুন আইনে আবেদন করার কথা জানান। কিন্তু বিচারপতি ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে ভিন্ন নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি কোন আইনে ক্ষতিপূরণের কথা বলে জমি অধিগ্রহণের নোটিস দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে তথ্য তলব করেছেন। জেলাশাসককে ১৩ জুন হলফনামা জমা দিতে হবে আদালতে।