জলপাইগুড়ি: জঙ্গলের ভিতরের শটকার্ট রাস্তায় কাল হয়েছিল অর্জুনের। পাঁচিরাম নহাটা হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র অর্জুন। তাঁর মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছিল বেলাকোবার কেবলপাড়া হাইস্কুলে। বাড়ি থেকে দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। সেই রাস্তার পাঁচ কিলোমিটার পথ কমানোর জন্য শটকার্ট রাস্তা ধরেছিলেন অর্জুনের বাবা বিষ্ণু দাস। তিনি ছেলেকে বাইকে চাপিয়ে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের ভিতরের রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আর এই পথে যেতে গিয়েই ঘটে সেই মর্মান্তিক বিপদ।
বিষ্ণুবাবু বলেন, ‘বাইকে করে আমি আর ছেলে যাচ্ছিলাম। আচমকা হাতির চিৎকার কানে আসে। কোনওমতে বাইক থামিয়ে ছেলেকে নিয়ে পালাতে যাই। কিন্তু ছেলে মাটিতে পড়ে যায়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ওই দামাল হাতি ছেলেটাকে পিষে দেয়। আমার চিৎকার চেঁচামেচিতে গ্রামের লোকজন ছুটে আসে। একজনের বাইকে চাপিয়ে জঙ্গল থেকে ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় গ্রামের কাছে নিয়ে এলাম। সেখান থেকে গাড়িতে সোজা জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। কিন্তু পারলাম না। হাসপাতালের ডাক্তাররা বললেন, ও আর নেই।’